অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার উপায় হিসাবে বলতে গেলে প্রথমে যেটি বলতে হয় তা হচ্ছে আপনাকে নিয়মিত খাবার গ্রহণ করতে হবে। অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়া সম্ভব এটা কোন গল্প নয়।কিভাবে মোটা হবেন কি করতে হবে আর কেন আপনি মোটা হচ্ছেন না বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকের এই প্রতিবেদনে। আশা করছি পুরো প্রতিবেদন টি পড়বেন। এখন আসি কাজের কথায়।আপনি নিশ্চয়ই অনেকবার শুনেছেন কি খবর তোমার কি বাসায় খাবার নেই নাকি।এরকম ফাইজলামি মুলক কথা প্রতিনিয়ত শুনতে হয় একজন পাতলা ব্যাক্তিকে।আসলে সবাই চায় একেবারে পাতলা বা চিকনা না হয়ে স্বাবাবিক হেলদি থাকতে।যেহেতু আপনি পাতলা তাই আজকের এই প্রতিবেদন টি আপনার জন্য।আশা করি কাজে আসবে।আপনি যত গুলো পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন মোটা হওয়ার জন্য সব ভুল।
নয়তো সঠিন নিয়মে করতে পারেন নাই যার জন্য আজকের এই প্রতিবেদন টা পড়তে এসেছেন।মোটা হবার যত ওসুধ আছে তার প্রধান ওসুধ হচ্ছে ফ্যাট জাতীয় খাবার।ক্যালরি যুক্ত খাবার, এছাড়া Dry ফুড খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আস্তে আস্তে মোটা হতে থাকবেন।এছাড়াও আপনাকে পরিমিত ঘুম এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে মোটা হবার জন্য। অতিরিক্ত চিকন শরীর আমাদের কারোরই কাম্য নয়।তবে অনেক কারনেই আবার হয়ে যায়।কারোর জন্মগত ভাবে আবার কারোর ব্যাক্তিগত বদ অভ্যাস থেকে শরীর পাতলা হয়।পাতলা শরীরের মেয়ে কিংবা ছেলে দেখতে সুন্দর হলেও ভালো লাগে না। এমন কি এই ফিটনেস ব্যাক্তি জীবন ছড়িয়ে কর্মজীবনেও ভোগান্তি সৃষ্টি করে।তাই আজকে এখন জানবো অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার উপায়। চলুন শুরু করা যাক অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার উপায়।
সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায়
সাস্থ্য কিংবা সুসাস্থ্য হচ্ছে আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত।তবে এটা সত্যি যে আপনার কিছু এক্টিভিটিস পরিবর্তন করলে মোটা হতে শুরু করবেন হয়তো খুব বেশি মোটা হবেন না।তবে স্বাভাবিক হবেন।আর এটাই সবার কাম্য। খুব বেশি মোটা হলে আবার চিকন হবার পরামর্শ দরকার হবে।যাই হোক সাত দিনে কখনো মোটা হওয়া যায় না।গরুর ওসুধ কিংবা হারবাল ব্যাতিত। যা পরবর্তীতে শরীরের জন্য খারাপ ইফেক্ট পরে। চলুন সাত দিনে নয় কিভাবে অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়া যায় তার কিছু টিপস।
খাদ্যাভ্যাসঃ
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।চিকন যারা তাদের মোটা না হবার অন্যতম কারন হচ্ছে তারা ঠিকমতো খাবার খায় না।এবং এরা ভালো খাবার গুলো একদমই খেতে চায় না।তাই তাদের বুঝতে হবে মোটা হবার জন্য খাবার এর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। কার্বহাইড্রেট যুক্ত খাবার , ফ্যাট জাতীয় খাবার, ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার গুলো বেশি খেতে হবে। কেননাঅতি তাড়াতাড়ি মোটা হতে এই খাবার গুলো কার্যকারি ভুমিকা রাখে।
পরিমিত ঘুমঃ
বেশিরভাগ সময়ে ঘুম ভালো না হবার জন্য সাস্থ্য খারাপ হয় ভালো হবার বিপরীতে।তাই পরিমিত ঘুমাতে হবে।তবে ঘুমের নিয়ম সঠিক হতে হবে।প্রতিদিন নিয়ম করে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করতে হবে।
ঘনঘন খেতে হবেঃ
এমন কিছু করেন যেন ক্ষুধা লাগে। এবং একটু পর পর খেতে ইচ্ছা করে।হজমের সমস্যা হলে সেটির চিকিৎসা করুন।তারপরও খেতে হবে ঘন ঘন। মোটা হবার জন্য খাওয়ার কোন বিকল্প নেই।
ব্যায়াম করাঃ
ব্যায়াম শুধু শরীর ফিট কিংবা ওজন কমায় না বরং নিয়মিত ব্যায়াম করলে মোটাও হওয়া যায়। সকাল সকাল কিছুক্ষণ ব্যায়াম করলে শরীরের হরমোনের পরিবর্তন হয় এবং ক্ষুধা লাগে যার জন্য শরীরের খাদ্য প্রয়োজন হবে এবং খেতে ইচ্ছে করবে।
প্রথমিক ভাবে আপনি নিয়মিত এই কাজ গুলো করুন।সাত দিন নয় তবে অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার জন্য সেরা উপায় এগুলো।
অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার উপায়
মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা
মোটা হওয়ার জন্য নিয়মিত একটা খাদ্য তালিকা করতে হবে এবং যা আপনাকে প্রতিনিয়ত মেনে চলতে হবে।যে খাবার গুলো আপনার সাস্থ্য পরিবর্তন করতে পারে।তাই এই সব খাবার গুলো সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি। চলুন জেনে নেই মোটা হবার জন্য খাবার তালিকা।
ভাত ও রুটিঃ
পাতলা ব্যাক্তিরা খুব বেশি খেতে পছন্দ করে না।তবে তাদের সাস্থ্য মোটা করতে হলে প্রতিদিন বেশি বেশি খেতে হবে।এবং ভাত আর রুটি যতবেশি সম্ভব খেতে হবে। ভাত ও রুটিতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। এবং শর্করার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি হচ্ছে ভাত এবং রুটিতে।ভাত রুটি একটু বেশি করে খাবেন।শরীরের ওজন বাড়াতে এই দুই খাবার সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।
কিসমিস ও বাদামঃ
মোটা হওয়ার জন্য বাদাম এবং কিসমিস যতেষ্ট ভুমিকা রাখে। তাই যে পরিমান প্রয়োজন সে পরিমান বাদাম এবং কিসমিস রাতে ঘুমানোর আগে ভিজিয়ে রাখুন।তারপর সকালে সেই ভিজিয়ে রাখা কিসমিস এবং বাদাম খালি পেটে খেয়ে নিন।বাদাম এবং কিসমিস এ থাকা পুষ্টি উপাদান শরীরের ফ্যাট করতে যতেষ্ট ভুমিকা রাখে।তাই মোটা হবার জন্য এই খাবার নিয়মিত খাবেন।২ মাসের মধ্যে শরীরের পরিবর্তন দেখতে পারবেন।অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার উপায়।
তাৎক্ষণিক ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
ডিমঃ
সকলে জানি ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে।মোটা হতে হলে ডিম খেতেই হবে।ডিম ভাজি হোক কিংবা সিদ্ধ যেভাবেই হোক ডিম খাবেন।অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার জন্য ডিম খেতে হবে।
সবজিঃ
আধুনিকতার কল্যাণে এখন আমরা অনেকে সবজি খেতে চাই না।তবে সাস্থ্য ভালো করার জন্যে অথবা শরীর মোটা করার জন্য প্রচুর সবজি খেতে হবে।পরোটা হোক কিংবা ভাতে হোক সবজি নিয়মিত খেলে মোটা হওয়া যায় দ্রুত।শাক, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া,ইত্যাদি সকল সবজি অতি তাড়াতাড়ি মোটা করার জন্যে ব্যাপক ভুমিকা রাখে।
ফলমূলঃ
ফলমূল হচ্ছে ভিটামিনের ভান্ডার। আপনি আপেল,আজ্ঞুর,কমলা,আপেল ইত্যাদি ফলমূল খাবেন।যা আপনাকে অতি তাড়াতাড়ি মোটা হতে সাহায্য করবে।
মাছ মাংসঃ
মাছ মাংসের যে পুষ্টি উপাদান রয়েছে সেগুলো মোটা হবার জন্য যতেষ্ট। তবে এটি তো সকলের সাধ্যে থাকে না।তাই যদি সাধ্য থাকে নিয়মিত মাছ মাংস খাবেন।দেখবেন অতি তাড়াতাড়ি মোটা হয়ে যাবেন।
সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার জন্য যেগুলো খাবার খাওয়া উচিত, সেগুলো সম্পর্কে এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন।এখন আসলে এটিও যেনে নেওয়া ভালো খালি পেটে কোন খাবার গুলো খেলে অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়া যায়।চলুন জেনে নেই।
কিসমিসঃ
কিসমিস রাতে ভিজিয়ে রাখলে এর পুষ্টি উপাদান গুলো নিশ্চিত থাকে।মোটা হবার জন্য এই কিসমিস খালি পেটে খেতে হবে।সাথে বাদাম হলে ভালো হবে।তাই মোটা হতে হলে খালি পেটে কিসমিস খাবেন।কিসমিসে যে পুষ্টি গুলো আছে তা আপনার শরীরে পুরোপুরি কাজ করবে খালি পেটে খেলে।আর কিসমিস মোটা হবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। তাই খালি পেটে কিসমিস খাবেন।অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার উপায়।
খেজুরঃ
খেজুরে প্রচুর ক্যালরি থাকে। যা আপনাকে মোটা হবার জন্য যতেষ্ট ভুমিকা রাখে।যদি আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩ টি খেজুর খান তাহলে আপনি সারাদিন বেটার ফিল করবেন। খেজুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।এছাড়াও শরীর সুস্থ্য রাখতে ভুমিকা রাখে। তাই খালি পেটে খেজুর খাবেন।অতি তাড়াতাড়ি মোটা হবেন আশা করি।
শুকনো খেজুর খাওয়ার নিয়ম
কাচা ছোলাঃ
ছোলার উপকারী সম্পর্কে অনেকে জানি।ছোলা সবথেকে বেশি ভুমিকা রাখে একজন ব্যাক্তির মোটা হবার জন্য। রাতে ছোলা ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে যতটুকু ইচ্ছে হবে ততটুকু ছোলা রেগুলার খেলে শরীরের ফিটনেস বৃদ্ধি পায়।মোটা হবার জন্য এই ছোলার কোন বিকল্প নেই। অতি তাড়াতাড়ি মোটা হতে চাইলে আজকে থেকেই ছোলা খালি পেটে খাওয়া শুরু করুন।
পিনাট বাটারঃ
পিনাট বাটার হচ্ছে উচ্চ কোয়ালির একটি ক্যালরি যুক্ত খাবার। যদি কেউ রেগুলার রুটি কিংবা যে কোন কিছুর সাথে পিনাট বাটার খায় তাহলে তার ওজন খুব দ্রুত বেড়ে যাবে।তাই ওজন কিংবা মোটা হবার জন্য আপনাকে পিনাট বাটার খেতে হবে।
- সকালে খালি পেটে এই সকল খাবার খেলে মোটা হওয়া যায় এছাড়াও আপনাকে মোটা হতে হলে প্রতিদিন রাতে ১ গ্লাস দুধ খেতে হবে।রাতে আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে তিন বেলার জায়গায় চার বেলা খেতে হবে। তাহলে আপনি মোটা হতে পারবেন
মোটা না হওয়ার কারণ কি
অনেকে আছেন যারা উপরক্ত সকল নিয়ম মেনে চলার পরেও কোন ফল পাচ্ছেন না।আসলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মোটা হবার পিছনে না দৌরিয়ে কি জন্য মোটা হয় না বা মোটা হতে যে বাধা সেগুলো ঠিক ভাবে জেনে মোকাবিলা করতে পারলেই অতি তাড়াতাড়ি মোটা হতে পারবেন।চলুন যেনে নেই মোটা না হওয়ার কারন কি।
স্ট্রেস বা মানসিক চাপঃ
অতিরিক্ত মানসিক টেনশনে মানুষ মোটা না বরং শুকায়।মোটা হবার পিছনে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে মানসিক চাপ। যে কোন ধরনের মানসিক চাপ প্রথমে ব্যাক্তি শরীর ধ্বংস করে।তাই আপনি অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার উপায় খুজতেছেন তাহলে সারাদিন যদি মানসিক কোন টেনশনে থাকেন তবে কোন কিছু নেই যা আপনাকে মোটা করতে পারে তাই প্রথম কাজ হচ্ছে মন থেকে সকল স্ট্রেস বা মানসিক চাপ দূরে রাখতে হবে।
পরিমিত ঘুম না হওয়াঃ
অতি তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার উপায় যদি আপনার ঘুম ঠিকঠাক না হয় তবে আপনার মোটা হবার কোন চাঞ্জ নেই।মোটা হবার প্রথম সর্থ হচ্ছে আপনাকে প্রচুর ঘুমাতে হবে।আর সেখানে যদি আপনার ঘুম ঠিক ভাবে না হয় তাহলে কখনোই মোটা হওয়া পসিবল না। তাই মোটা না হওয়ার কারন হচ্ছে পরিমিত ঘুমের অভাব।
পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবঃ
মোটা হতে হলে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।যদি আপনার খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার না থাকে তবে মোটা হবার সম্ভাবনা খুবই কম।অনেকে বলে সে প্রচুর খায় তারপরও কেন মোটা হয় না।।তাদের মেইন সমস্যা হলো তারা নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খায় না।আপনি এত খাওয়ার পরেও কেন মোটা হচ্ছেন না বুঝতে পেরেছেন।তাই মোটা হতে হলে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।এর অভাবে মোটা না হওয়ার কারন।
নেশা করাঃ
নেশাখর ব্যাক্তিরা কখনো মোটা হয় না।মোটা না হওয়ার অন্যতম কারন হচ্ছে নেশা করা।যারা নেশা করে তাদের রক্তে নিকোটিন এর মাত্রা অধিক হয়ে যায়।ফলে তাদের ক্ষুধা লাগলে তাদের খাবার এর চেয়ে নিকোটিনের চাহিদা বেশি থাকে।আর এই জন্য খাদ্য নেশাখোর দের শরীরে কোন পরিবর্তন করতে পারে না।মোটা হবার জন্য বড় বাধা হচ্ছে নেশা করা।নেশা বর্জন করুন।
রাত জেগে মোবাইল ব্যবহারঃ
আমরা হয়তো অনেকে স্মার্ট যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বিভিন্ন কারনেই রাত যেগে ফোন কিংবা ল্যাবটপের সামনে বসে থাকি।আর এটি হচ্ছে সাস্থ্য নষ্ট করার জন্যে যতেষ্ট। মোটা হবার প্রথম বাধা হচ্ছে রাত জেগে মোবাইল ব্যবহার। রাত জেগে মোবাইল ব্যবহার করলে মোবাইলে থাকা নীল আলোর আমাদের চোখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতি।তাই অতি তাড়াতাড়ি মোটা হতে চাইলে এই বদ অভ্যাস পরিবর্তন করুন।
রাত জেগে মোবাইল চালালে কি হয়
এরকম নিত্য নতুন সাস্থ্য এবং বিউটি রিলেটেড টিপস পেতে ফলো করুন আমাদের বিউটি হেলথ বিডি ফেসবুক পেইজে।
ধন্যবাদ
আপনার সাইট কি adsense approved দেয় নাই
na