মাথার চুল গজানোর উপায়

মাথার চুল গজানোর উপায়

মাথায় চুল গজানোর উপায়, সম্পর্কে আমাদের জানা অতীব জরুরী। কেননা ,বর্তমান সময়ে চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন অনেকে। আর এই ভোগান্তি থেকে তৈরি হয় হতাশা। মাথার চুল হচ্ছে আমাদের সৌন্দর্য। তাই মাথার চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে আমাদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানতে হবে। বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে, বেশ কিছু উপায় রয়েছে ।যেগুলো নিয়ম মাফিক মেনে চললে, মাথায় নতুন চুল গজায়। যার মাধ্যমে আপনি এই হতাশা থেকে বের হয়ে আসতে পারেন । আপনার অরজিনাল সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি পরার আহবান করা হলো। আশা করছি মাথার চুল গজানোর জন্য যে সকল উপকরণ প্রয়োজন। সে সকল উপকরণ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করা হবে। আজকের এই আর্টিকেলটিতে।

মাথার চুল গজানোর উপায়

বর্তমান সময়ে এই চুল পড়া বন্ধ করতে কত কিছুই না ব্যবহার করে থাকেন অনেকে। তবে আজকে এমন কিছু ঘরোয়া উপাদান সম্পর্কে আলোচনা করব। যেগুলো আপনার হাতের পাশেই থাকে ।যা ব্যবহার করে আপনি আপনার মাথার চুল, গজানোর জন্য যথেষ্ট ভূমিকা পালন করবে।

১. পেঁয়াজ:

মাথার চুল গজানোর জন্য পেঁয়াজ সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে পেঁয়াজ খুব সতর্কতা সাথে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। পেঁয়াজের ভিতরকার অংশ যে জায়গায় চুল নেই সেই জায়গায় ঘষে দিয়ে ব্যবহার করতে হবে। মাসিকের সময় পিল খেলে কি হয়

২. মেহেদি পাতা:

চুল পড়া বন্ধ কিংবা , চুল রং করার ক্ষেত্রে অথবা চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য মেহেদী পাতার গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়াও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে মেহেদী পাতা অসামান্য অবদান রেখে থাকে। তাই মেহেদি পাতা ভালো করে বেটে মাথায় চুলে ব্যবহার করুন। তাতে করে মাথার চুল গজানোর জন্য সুবিধা হবে।

৩. আমলকি:

আমলকি শুকিয়ে নারকেল তেল দিয়ে জ্বালালে এতে করে এক ধরনের তেলের রুপান্তরিত করে। নিয়মিত চুলে ব্যবহার করলে এটি চুল পড়া বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে ।তেমনি চুলের বৃদ্ধি  দ্রুত করতে সহায়তা করে।

৪. ডিম:

দিন চুলের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এটা আমরা সকলেই জানি। ডিমে থাকা পুষ্টি উপাদান চুল গজাতে ভীষণভাবে কাজ করে। নতুন চুল গজাতে এবং চুল বৃদ্ধি করতে ডিমের গুরুত্ব অপরিসীম। সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার মাথায় ডিম দিন।

৫. অলিভ অয়েল এবং এলোভেরা:

অ্যালোভেরা ও মধু এসব মিশ্রণ দিয়ে হেয়ার প্যাক বানিয়ে । চুলের আগা থেকে গোরা পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন ।দেখবেন এতে করে আপনার চুল মজবুত হবে ।এবং চুল পড়া বন্ধ হবে ।এর পাশাপাশি এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

মাথার চুল গজানোর উপায়

মাথার চুল গজানোর তেল

মাথায় চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে মোটামুটি জেনেছেন। তাই এখন আপনাদের এটিও জেনে রাখা উচিত ।মাথায় চুল গজানোর জন্য যে তেল সমূহের প্রয়োজন। এমন কিছু তেল নিয়ে আলোচনা করব ।যে তেল গুলো মাথায় ব্যবহার করলে মাথায় নতুন চুল গজাবে। মাথার চুল বাজাতে সাহায্য করে, এরূপ পাঁচটি তেলের ব্যাপারে আজকে আলোচনা করব।

১. অলিভ অয়েল:

শুধু চুল গজানোর জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহার করা হয় না ।পাশাপাশি অলিভ অয়েল আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান করে থাকে। যেমন ওজন কমাতে অনেকেই অলিভ অয়েল দিয়ে খাবার তৈরি করে খায়। তবে মাথার চুল গজানোর জন্য অলিভ অয়েলের গুরুত্ব অনেক। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এই তেল মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

২. কাঠবাদামের তেল:

কাঠবাদামের সাধারণত ভিটামিন ই -ডি_ র এর মত উপাদান রয়েছে। এই উপাদানগুলো সাধারণত নতুন চুল গজাতে দারুন ভাবে সাহায্য করে থাকে। যদি দেখতে পান হঠাৎ করে আপনার মাথার চুল অনেক বেশি উড়তে শুরু করেছে। তাহলে দেরি না করে কাঠ বাদামের তেল ব্যবহার করতে শুরু করুন ।উপকার পেতে পারেন।

৩. নারকেল তেল:

চুলের যত্নে নারকেল তেলের উপকারিতা সম্পর্কে বাঙালি নারীদের এবং বাঙালি মানুষদের আলাদাভাবে বুঝানোর কিছু নেই। তবে টাক চুল গজানোর ব্যাপারে কিন্তু এই নারকেল তেলের উপরে ভরসা রাখতে পারেন। কেননা নারকেল তেল নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। নারকেল তেলের রয়েছে ফ্যাটি এসিড এর মত প্রয়োজনীয় উপাদান ।যা চুল পড়া সমস্যার সমাধান করে। যার চুল পড়ে না সে যদি নিয়মিত নারকেল তেল ব্যবহার করে ,তাহলে তার হবার সম্ভাবনা একেবারেই নেই বললেই চলে।গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয়

৪. ক্যাস্টর অয়েল:

রিসিনোলেক অ্যাসিড সমৃদ্ধ এই ক্যাস্টর অয়েল। যাতে রয়েছে এন্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা মাথার ত্বক এবং রক্ত চলাচল সচল রাখতে সাহায্য করে। তাই ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। মাথার নতুন চুল গজানোর জন্য ।এ তেল ব্যবহার করলে দারুন উপকার পাবেন।

৫. ভিটামিন ই অয়েল:

সকলের হয়তো জানা ভিটামিন-ই চুলে গোরা মজবুত করে। এবং চুল পড়া বন্ধ করে। তাই তাই ভিটামিন ই যুক্ত তেলসমূহ। চুল গজানোর জন্য ব্যবহার করা বেশ ভালো। তাই ভিটামিন ই যুক্ত তেল ব্যবহার করুন ।মাথায় নতুন চুল গজানোর জন্য। যে তেল বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে।

চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

মাথার চুল গজানোর উপায়, সম্পর্কে জানা যতটুকু না জরুরী ।সেরকম মাথার চুল গজানোর উপায় জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে মাথার চুল পড়া বন্ধ করার উপায়। বর্তমান সময়ে নারী এবং পুরুষ উভয়ে চুল পড়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন। এজন্য বিভিন্ন কিছু দায়ী হতে পারে, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অতিরিক্ত দূষণ। কিংবা সঠিক খাদ্যাভাসের অভাব । এছাড়াও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে চুলের পর্যাপ্ত যত্ন না নেওয়া। তাই এই পর্বে আলোচনা করব এমন কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে যেগুলো মেনে চললে আপনার মাথার চুল পড়া বন্ধ হবে।

চুল পড়ার কারণ

১. শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব: অনেকে আছেন যারা নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার না খেয়ে, বাইরের আজেবাজে খাবার বেশি খেতে পছন্দ করেন ।ফলে তার শরীরে আয়রন ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি  এ পর্যাপ্ত পরিমাণ অভাব দেখা দেয়, ফলে চুল পড়তে বাধ্য হয়।

২. পানি কম পান করা: আমরা হয়তো এই পানি পান করার বিষয়টাকে খুব সহজেই এবাউট করে যাই। তবে সত্যিকার অর্থে চুল পড়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করা।

৩. নিয়মিত ঘুম না হওয়া: ঘুম আমাদের শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। অনেকে আছি ঠিকমত ঘুমাই না, সময়ের ঘুম সময় ঘুমায় না। একজন সুস্থ ব্যক্তিকে দৈনিক ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত তার থেকে কম হলে মাথার চুল পড়তে পারে।

৪. হাই পার টেনশন: এ পর্যন্ত যতগুলি কারণ পড়েছি তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হাইপার টেনশন। এই হাইপার টেনশনের কারণে সবচেয়ে বেশি চুল পড়তে থাকে ।হাইপার টেনশনের কারণে যে ধরনের হরমোন নিঃসরণ হয়, যার ফলে মাথার চুল পড়তে সহায়তা করে ।তাই হাইপারটেনশন থেকে বিরত থাকবো।

মাথার চুল গজানোর উপায়

চুল পড়া বন্ধ করতে করণীয়

চুল পড়া বন্ধ করতে কিছু করণীয় রয়েছে ।যেগুলো মেনে চললে চুল পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করবে।

১. চুলের জোট খোলার জন্য সঠিক নিয়মে চুল আঁচড়াবেন ।অবশ্যই গোসলের আগে চুল আঁচড়িয়ে নেবেন ।চুল সব সময় নিচের দিক থেকে আঁচড়ানো স্ট্যান্ডার্ড।

২. অনেকে আছেন যারা চুলে নিয়মিত শ্যাম্পু করে। আমরা হয়তো অনেকে জানিনা প্রতিদিন শ্যাম্পু করা চুলের জন্য ক্ষতি। তাই সপ্তাহে তিন দিনের বেশি শ্যাম্পু করবেন না। এটা চুল পড়ার অন্যতম কারণ তাই ,সপ্তাহে তিন দিন শ্যাম্পু করুন চুল পড়া বন্ধ হবে।         ঝুলে যাইয়া ব্রেস্ট টাইট করার ঘরোয়া উপায়

৩. শ্যাম্পু করা থেকে বেশি জরুরী হচ্ছে চলে কন্ডিশনার ব্যবহার করা। গোসল শেষে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন এতে করে চুল পড়া কমবে।

৪. খুব ভালো হয় যদি আপনি রাতে শোয়ার আগে চুল আঁচড়িয়ে বেণী করে ঘুমান। এতে করে চুল পড়তে পারবেনা । ফলে চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করবে।

৫. সব সময় চেষ্টা করবেন চুলের স্বাভাবিকভাবে তেল দিতে । অতিরিক্ত তেল ব্যবহার চুল পরার কারণ হতে পারে । তাই যারা অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করেন তারা তেল ব্যবহার কমিয়ে দিন। স্বাভাবিকভাবে তেল ব্যবহার করুন দেখবেন চুল পড়া বন্ধ হয়েছে.।

চুল পড়া বন্ধ করার খাবার

চুল পড়া বন্ধ করার জন্য উপরোক্ত কারণগুলি যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি চুল পড়া বন্ধ করতে কিছু খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। দেখে নেই এমন কিছু খাবার যেগুলো নিয়মিত খেলে চুল পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করবে।

.বাদাম

টক ফল

তৈলাক্ত মাছ

হলুদ ও সবুজ ও কমলা রজ্ঞের শাকসবজি

টক দই

ডিম

ভিটামিন বি

পালং শাক

ঘন ঘন করে ডাল

বীজ জাতীয় খাবার

এরকম নিত্য নতুন বিউটি অ্যান্ড হেলথ রিলেটেড টিপস এন্ড ট্রিকস পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের এই ওয়েবসাইটে ।এবং ফলো করুন বিউটি হেলথ বিডি facebook পেজে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *